পটুয়াখালীর গলাচিপায় অসহায় খাদিজা বেগম টাকার অভাবে থাকার মত ঘর তুলতে পারছে না। খাদিজা বেগম (৪০) হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নলুয়াবাগী গ্রামের মৃত লুৎফর মৃধার স্ত্রী এবং সফিজউদ্দিন মোল্লার মেয়ে।
স্বামী মৃত্যুর পরে হাবুডুবু খাচ্ছেন তার সংসার নিয়ে। ২ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে তার সংসার। স্বামীর রেখে যাওয়া তিন শতক জমির উপরে একটি হোগলপাতার জড়াজীর্ণ ঘরেই বসবাস তার। বৃষ্টি এলেই ঘরের মধ্যে পানি পরে, বসে থাকতে হয় বিছানা গুছিয়ে। শীতেও বাতাসের কারণে ঘরের মধ্যে বসবাস করা দায়। এ বিষয়ে খাদিজা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে অভাবে আছি।
সন্তানদের পড়ালেখা কীভাবে করাব তা বলতে পারছি না। আমার স্বামীর কোন ফসলী জমি না থাকায় বাড়তি কোন টাকাও আসে না। আমার স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায় অনেকবার ঘর তৈরি করার চেষ্টা করেছি কিন্তু টাকা গোছাতে পারি নাই। এখন আমার স্বামী মারা যাওয়ায় ঘর তৈরির স্বপ্ন আর পূরণ হবে না। মনে হচ্ছে সারা জীবন এভাবেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কষ্ট করতে হবে।
তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটা ঘর পেলে আমার এই কষ্টটা দূর হতো। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, আসলেই খাদিজা বেগমের ঘরটি ভাংগাচোরা। সামান্য ঝড়ে এলেই অন্য বাসায় আশ্রয়ের জন্য যেতে হয়। তারা যদি একটি ঘর পায় তাহলে হয়ত পরিবারটির একটু মাথা গোঁজার মত ঠাঁই হবে। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আসলেই খাদিজা বেগম এখন খুবই অসহায়। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কষ্টে আছে। সরকারি একটি ঘর পেলে অসহায় দরিদ্র পরিবারটি ভালো থাকত।
এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম হাওলাদার বলেন, খাদিজা বেগম অনেক বছর ধরেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। একটা ঘর পেলে মাথার উপর ছায়া হতো। এ বিষয়ে খাদিজা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করবেন বলে জানান।